প্রকাশিত: Mon, Jan 1, 2024 12:02 PM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 10:16 PM

[১]ইসি বা সরকারের কোনো মন্ত্রীর সার্টিফিকেটে নির্বাচন ক্রেডিবল হবে না: সিইসি [২]সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে: ইসি আনিছুর

এম এম লিংকন:  [৩] ভোটে দায়িত্বপালনকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, নির্বাচন ক্রেডিবল সুষ্ঠ হবে যদি, দৃশ্যমানতার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ফুটিয়ে তুলতে পারি।

[৪] রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক্সিকিউটিভ (নির্বাহী) ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

[৫] গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা অবাধে প্রবেশ করতে পারবেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন,তারা স্বাধীনভাবে প্রবেশ করে অবাধে বিচরণ ও প্রচার করতে পারবে। জনগণ যদি গণমাধ্যমে দেখে ভেতরে পরিবেশ সুন্দর, স্বচ্ছ হচ্ছে তাহলে ভোটটা কিন্তু সুন্দরভাবে ওঠে এলো।

[৬] নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক রয়েছে। নির্বাচনের গ্রহযোগ্যতা প্রশ্নের যেমন বাগবিতন্ডা হচ্ছে, সহিংসতাও হয়েছে। আমাদের নির্বাচনে আরেকটি কারণে মনোযোগী হতে হবে, কারণ রাজনৈতিক একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে। সাধারণত নির্বাচন খুব উৎসবমুখর হয়। 

[৭] ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের সময় নির্বাচনটা  তৎকালীন  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সে নির্বাচনে মুসলীম লীগের ভরাডুবি হয়েছিল। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। এরপর সব সময়ই নির্বাচন উৎসমুখর হয়েছে। সে বিষয়টা এবার ক্ষুন্ন হয়েছে, যেহেতু একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে। 

[৮] সিইসি বলেন, ১৪ সালে নির্বাচন বর্জন হয়েছিল, সহিংসতা হয়েছিল। সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ, আপনারা জানেন। ১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও কিছু বিতর্ক হয়েছে। নির্বাচন সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক ছিল। কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। পরবর্তীতে সেটা নিয়ে কিছু বিতর্ক হয়েছে। যার ফলে আমাদের দেশে প্রচলিত যে নির্বাচনটা নিয়ে সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। 

[৯] দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন,এবারের নির্বাচনটা যে কোনো মূল্যে আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে একটি সরকার তার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে, নির্বাচন কমিশন ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডি, সরকার সেখানে সাংবিধানিকভাবে সাহায্য করতে বাধ্য। আবার সরকারের সহায়তা ছাড়া আমরা নির্বাচন করতে পারি না। 

[১০] নির্বাচন ইন্টারন্যাশনাল ডাউমেনশন পেয়েছে বলে মনে করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেন, আন্তর্জাতিক ডাইমেশনটা দেশের অর্থনীতিকে  সামাজিক স্বার্থে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কোনো রকম যদি অনাচার ধরা ধরা পড়ে, সেটা অবশ্যই ক্ষমতা দিয়ে প্রতিবিধান করবেন। আমরা জাতিসংঘের সদস্য। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র, তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। সরকার এবং আমাদের সঙ্গে তারা বারবার সাক্ষাত করছেন। তাদের প্রত্যাশা তারা ব্যক্ত করেছেন, তারা আশা করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু করতে হবে। 

[১১] নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটে দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটের দিন, ভোটের আগে আচরণ বিধি প্রতিপালনে কিছু অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা হয়। যেমন সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে দেওয়া, কেন্দ্র দখল হয়ে যাওয়া, এতে ভোটাররা ভোটটাকে প্রত্যাখান করেন। আপনাদের  দায়িত্ব হচ্ছে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস গড়ে তুলবে হবে, যে নির্বাচনের পরিবেশ আছে, যে আপনারা নির্ভয়ে ভোটাধিকার দিতে পারবেন। 

[১২] বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান আরো বলেন, সুষ্ঠু ভোট না হলে  ব্যবসা বাণিজ্য সহ সব কিছু থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

[১৩] এই নির্বাচন কমিশনার  বলেন, আমরা শুধু আমাদের দৃষ্টিতে অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করলে হবে না। আমাদের দিকে সমগ্র বিশ্ব তাকিয়ে আছে। 

[১৪] কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু , সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য না করতে পারি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। বাংলাদেশ সকল বিষয়; বিশেষ করে আর্থিক, সামাজিক, ব্যবসা বাণিজ্য সহ সব কিছু থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বাংলাদেশ হয়তোবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

[১৫] দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  ৬ দিন পর জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কে যে কোন মূল্যে সুষ্ঠ, অবাধ ও অংশগ্রহণ মূলক করতে হবে। সম্পাদনা: ইকবাল খান